‘কারিন ইচ্ছে করে ঝামেলা পাকাচ্ছে’- দাবি ইলিয়াসের


ক্রিকেটার নাসির হোসেনের সঙ্গে সম্পর্কের জেরে আলোচনায় আসা মডেল-অভিনেত্রী সুবাহ শাহ হুমায়রা ও সংগীতশিল্পী ইলিয়াস হোসাইন সম্প্রতি বিয়ে করেছেন। তাঁদের বিয়ের খবর ফাঁস হতেই বেঁধেছে বিপত্তি। ইলিয়াসের এটি তৃতীয় বিয়ে। তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী কারিন নাজ দাবি করছেন, ইলিয়াস তাঁকে ডিভোর্স না দিয়েই সুবাহকে বিয়ে করেন। শুধু তা-ই নয়, কারিনের দাবি, ইলিয়াসকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছেন সুবাহ। এসংক্রান্ত একটি কল রেকর্ড পর্যন্ত গণমাধ্যমের কাছে দিয়েছেন কারিন।
গত ১ ডিসেম্বর ঘরোয়া আয়োজনে এই বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কারিন দাবি করেছেন, বিয়ের পর ইলিয়াসকে নাকি মারধর করেছেন সুবাহ। এ বিষয়ে এবার মুখ খুললেন ইলিয়াস। আজ সোমবার বিকেলে ইলিয়াস বলেন, ‘এটা বোঝাই যাচ্ছে, ও (কারিন) ইচ্ছে করেই একটা ঝামেলা পাকাতে চাচ্ছে। বিয়ে তো দুইজনের পছন্দ, সম্মতিতেই হয়। এটা তো এমন না যে, একজন বলল আর আমি বিয়ে করে ফেললাম। এটা তো সম্ভব না। আমার যেই ফোনকল রেকর্ড কারিন প্রকাশ করেছে, ওটা আসলে পুরোপুরি সত্য নয়। কারণ সুবাহ নিজেই আমাকে এই কথাগুলো কারিনকে বলার জন্য বলেছিল। আমি সেভাবে বলেছি।’
ইলিয়াস আরো বলেন, ‘কারিন প্রায় তিন বছর ধরে সুইডেনে থাকে, আর আমি এখানে। বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ও আমাকে মানসিক নির্যাতন করে এসেছে। আমি অফিসে গেলেও তাকে সারাক্ষণ ফোনের লাইনে রাখতে হতো। যেকোনো জায়গায় গেলে এটা নিয়ে আমি খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ছিলাম। আমার কাছের, পরিচিত মানুষেরা সবাই জানে। একটা মানুষের সঙ্গে ডিভোর্স কখন হয়, যখন সম্পর্কটা ওই রকম তিক্ততায় চলে যায়। সে তিন বছর ধরে সুইডেনে আছে। আমাকেও সেখানে গিয়ে সেটেলড হতে বলে। কিন্তু আমার দ্বারা তো এটা সম্ভব না। কারণ আমি বাংলাদেশে একটা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা করি, আমার আলাদা একটা ক্যারিয়ার আছে।’
অন্যদিকে সুবাহ শাহ হুমায়রা বলেছেন, ‘কারিনের জন্য ওর (ইলিয়াস) সাথে আমার ব্রেকআপ হয়ে গিয়েছিল। সপ্তাহখানেক আমাদের যোগাযোগ বন্ধ ছিল। আমি ইলিয়াসকে বলেছিলাম, যদি পারো কারিনের সঙ্গে সব কিছু মিটমাট করে তারপর আসো। না হলে প্রেম, বিয়ে, সংসার এসবের দরকার নেই। ওই সময় কারিন ও তার মায়ের সঙ্গে আমার কথা হয়। তখন আমি তাদেরকে সব কিছু খুলে বলেছি। তখন কারিন আমাকে বলেছিল, যেন ইলিয়াসকে বলি তাকে সব কিছু ক্লিয়ার করে দিতে। এরপর ইলিয়াসকে বলি এবং সে ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছে। তার পরও তারা এ রকম করছে কেন, জানি না।’
ইলিয়াস আরো জানান, কয়েক মাস আগে কারিন নিজেই ডিভোর্স চেয়েছিলেন। দুই পরিবারসহ আলোচনা করেই সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এই বিয়েটা তাঁরা করেছিলেন কেবল ধর্মীয় রীতিতে। কোনো রেজিস্ট্রেশন করা হয়নি। তাই আইনগতভাবে বিচ্ছেদের প্রশ্নও আসে না। এর পরও সুবাহর পরামর্শে একটি আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কারিনকে ডিভোর্স লেটার পাঠান ইলিয়াস। বর্তমানে সুবাহর সঙ্গে তিনি ‘সুখে সংসার’ করছেন বলেও জানান।
