
কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদীর ফের আক্রমন প্রাণ ফিরে পেল আলোমতি



স্টাফ রিপোর্টার, মোঃ রেজাউল হক কুড়িগ্রামঃ কুড়িগ্রামের উলিপুরে ব্রম্মপুত্রের নদীর ভয়াবহ আক্রমণে ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে নদীর তীরবর্তী এলাকায়। বেশ কিছুদিন থেকে ভাঙ্গনে সর্বস্বান্ত হয়েছে শত শত পরিবারের বসত ভিটা, শত শত একর আবাদি জমি, রাস্তাঘাট বিভিন্ন হাট বাজার ও সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
পগত বৃহস্পতিবার ৪ নভেম্বর বিকেল ৫ টায উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মোল্লারহাট কড্ডার মোড় এলাকার রসুলপুর গ্রামে ব্রম্মপুত্রের ভয়াবহ ভাঙ্গনের দৃশ্য দেখা গেছে। এ সময় উপস্থিত প্রায় ২ শতাধিক লোকজন ভাঙ্গনের দৃশ দেখতে আসেন। সেখানে নদীর তীরবর্তী বাড়ির কিশোরী আলোমতি ভাঙ্গন সম্মুখীন দাঁড়িয়ে থাকায়। ব্রহ্মপুত্র কেড়ে নিতে চেয়েছিল তার প্রাণ প্রাণপণ চেষ্টার পর গভীর মাটি ও পানির নিচ থেকে উদ্ধার করে তাকে এ প্রতিবেদক উপস্থিত থাকাকালীন সময়ে ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙ্গনের আক্রমণে নদী গর্ভে ধসে পড়া মাটির সাথে নদীতে ছিটকে পড়ে যায় ।স্থানীয় নুর আলীর কিশোরী কন্যা আলোমতি প্রায় মৃত্যুর পথযাত্রী ছিলেন। উপস্থিত লোকজনের ব্যাপক চেষ্টায় নদীর উপর থেকে গভীর নিচ থেকে আটকাপড়া আলোমতিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এ সময় একটি হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আলোমতি কে এক নজর দেখার জন্য হাজার জনতার ভিড় জমে বেগমগঞ্জ ইউনিয়নটিতে বর্তমান ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীভাঙ্গন আতঙ্ক বিরাজ করছে ।দেখার জন্য কেউ নেই। ভাঙ্গন শিকার ইউনুস আলী জানান বাপ দাদার ভিটে মাটি আবাদি জমি কেড়ে নিয়েছে নদী এখন শুধু দুঃস্বপ্ন ইউপি চেয়ারম্যান বাবলু মিয়া জানান ভাঙ্গন রোধে ও ক্ষতিগ্রস্তদের পূর্ণবাসনের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে অবগত করা হয়েছে। এ প্রতিবেদকের সাথে মুঠোফোন কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আল মামুনের সাথে কথা হলে তিনি সত্যতা স্বীকার করে জানান, ভাঙ্গন এলাকাগুলোর প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠিয়েছি। অনুমোদন হয়ে আসলে ভাঙ্গন রোধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
