ডেঙ্গু জ্বরে রেকর্ড মৃত্যুর পথে দেশ « বাংলাখবর প্রতিদিন

ডেঙ্গু জ্বরে রেকর্ড মৃত্যুর পথে দেশ

মোঃ সিরাজুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার, বাংলাদেশ
আপডেটঃ ৭ নভেম্বর, ২০২২ | ৪:২৫
মোঃ সিরাজুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার, বাংলাদেশ
আপডেটঃ ৭ নভেম্বর, ২০২২ | ৪:২৫
Link Copied!
ডেঙ্গু জ্বরে রেকর্ড মৃত্যুর পথে দেশ -- দৈনিক বাংলাখবর প্রতিদিন

দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে ডেঙ্গুর সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা। বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ডেঙ্গুর সংক্রমণ হয়েছে চলতি বছর এবং ডেঙ্গুতে অতীতের মৃত্যুর সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে দেশ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক কারণে এবার দেরিতে এসেছে বর্ষা। থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকায় এডিস মশার প্রজনন বেশি হয়ে দীর্ঘায়িত হয়েছে ডেঙ্গু মৌসুম।সাধারণত এপ্রিল থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ডেঙ্গুর মৌসুম হিসেবে ধরা হয়। তবে জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই চার মাস হলো ডেঙ্গুর মূল মৌসুম। চলতি বছরের জুলাই মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এবছর নভেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহেও ডেঙ্গু রোগের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দেশে সর্বোচ্চ ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত ও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল ২০১৯ সালে। ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ রোগী এবং মারা যান ১৭৯ জন। এ বছর ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২০১৯ সালের তুলনায় কম, তবে মৃত্যুর দিক দিয়ে ২০১৯ সালের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৬ নভেম্বর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ৪৩ হাজার ১০৭ জন। একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মোট ১৭০ জন মারা গেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুত্র অনুযায়ী দেশে ২০০০ সালে দেশে সাড়ে পাঁচ হাজার রোগী ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হন এবং ৯৩ জনের মৃত্যু হয়। ২০০১ সালে আড়াই হাজার লোক ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় এবং ৪৪ জনের মৃত্যু হয়। ২০০২ সালে ছয় হাজার রোগীর মধ্যে ৫৮ জন মারা যান। ২০০৩ সালে ৪৮৬ জনের মধ্যে ১০ জন, ২০০৪ সালে চার হাজারের মধ্যে ১৩ জন, ২০০৫ সালে এক হাজারের মধ্যে চার জন, ২০০৬ সালে দুই হাজারের মধ্যে মৃত্যু হয় ১১ জনের। ২০০৭ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত আড়াই হাজার ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হলেও কেউ মারা যাননি। ২০১১ দেড় হাজারের রোগীর মধ্যে ছয়জনের মৃত্যু হয়। ২০১২ সালে ৬৭১ জনের মধ্যে একজন, ২০১৩ সালে প্রায় দুই হাজারের মধ্যে দুইজন রোগী মারা যান। ২০১৪ সালে ৩৭৫ জন ডেঙ্গু রোগীর মধ্যে কেউ মারা যাননি। ২০১৫ সালে তিন হাজারের মধ্যে ছয়জন, ২০১৬ সালে ছয় হাজারের মধ্যে ১৪ জন, ২০১৭ সালে তিন হাজারের মধ্যে আট জন, ২০১৮ সালে ১০ হাজার ১৪৮ জনের মধ্যে ২৬ জন, ২০১৯ সালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জনের মধ্যে ১৭৯ জন মারা যান। ২০২০ সালে দেড় হাজার মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেও মৃত্যু হয় চারজনের। তিনি আরও বলেন, এছাড়াও করোনার কারণে অনেকের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেছে, তারা ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে তুলনামূলক বেশি ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। পাশাপাশি অন্যান্য বছর থেকে চলতি বছর ডেঙ্গুতে শিশু ও বৃদ্ধরা তুলনামূলক বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। শিশু ও বৃদ্ধরা এ দুই বয়সীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কম। তাই সবকিছু মিলে বলা যায়, এবারের ডেঙ্গু ২০১৯ সালের তুলনায় মৃত্যু এবং ভয়াবহতা বেশি।

বিষয়ঃ:

শীর্ষ সংবাদ:
আমাকে মনে রাখবেন, ভুলে যাবেন না: তামিম ইকবাল দুই প্রকল্পেই খরচ বাড়ল সাড়ে ১১০০ কোটি টাকা তিতাসে দুই কেজি গাঁজাসহ মাদক কারবারি গ্রেপ্তার নিজ ভূমি পাবনা যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি দিনভর নাটক শেষে বিশ্বকাপ টিম গঠন তামিমকে ছাড়াই ! হোমনায় মাদ্রাসা ছাত্রকে ইস্ত্রী মেশিন গরম করে ছ্যাকা দিয়ে নির্যাতন সখীপুরে ফসলের নিবিড়তা বৃদ্ধি করণে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত এবার পরীমণির অশ্লীল ওয়েব ফিল্ম বন্ধে আইনি নোটিশ এবার ঢাকা আসছেন ভিসাবিষয়ক মার্কিন সহকারী মন্ত্রী অবহেলিত উর্মী অধিকার বঞ্চিত ষড়যন্ত্রের শিকার আইন বলছে: পারস্পরিক সম্মতিতে শারীরিক সম্পর্ক ধর্ষণ নয় দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিন্ন হলে ধর্ষণ নয়: এলাহাবাদ হাইকোর্ট পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুর্ঘটনা রোধে হটলাইন নম্বর চালু পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছে না ইউরোপীয় ইউনিয়ন মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কলেজ ছাত্র নিহত ঢাকায় সিঙ্গাপুর কনস্যুলেটকে হাইকমিশন করার ঘোষণা বর্তমান প্রেক্ষাপটে সুস্থ নির্বাচনের ক্ষেত্রে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা নরসিংদী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনপূর্ব বাহাউদ্দীন নাসিমের পথসভা রাজধানীতে জামায়াতের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত গাজীপুরে সেফটি ট্যাংকে নেমে নিহত-২, আহত-১