
ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ার্টারের দুটি রুমের তালা ভেঙ্গে দুর্ধর্ষ চুরি!



নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দ্বিতীয় শ্রেণীর নার্সেস কোয়াটার বাসার দ্বিতীয় তলায় দুটি রুমের দরজার তালা ভেঙ্গে দিন দুপুরে চুরির ঘটনা ঘটেছে।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১.৪০টার দিকে ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স কোয়ার্টারে চুরির ঘটনা ঘটেছে। মোছাঃ নাছিমা খানম সিনিয়র স্টাফ নার্স উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মোছাঃ নাজমিন আক্তার মিড ওয়াইফ লক্ষণপাড়া ইউনিয়ন সাব সেন্টারের কর্মকর্তাদের হাসপাতাল কোয়ার্টারের দ্বিতীয় তলায় একই সাথে দুটি রুমের তালা ভেঙ্গে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। দুইটি রুমের ভেতরের আসবাবপত্র এলোমেলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখা যায়।
এ বিষয়ে সিনিয়র স্টাফ নার্স উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মোছাঃ নাছিমা খানম(৪২) নার্স এর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ডে ডিউটি করতেছিলাম, বেলা ১১.৪০এর দিকে, সেখান থেকে বাসায় আসার পথে, আমার নাম ধরে কেবা ডাক দেয়, তাৎক্ষণিক বাসায় এসে দেখি রুমের তালা ভাঙানো, চিৎকার চেঁচামেচি করি, সেই সময় কেউ আসে না, রুমের ভিতরে সবকিছু এলোমেলো অবস্থায় পড়ে থাকা দেখি সঙ্গে সঙ্গে মনে হলো কেউ চুরি করতে এসেছিল, ক্ষতি আশঙ্কা মনে হলে, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র,আমার সোনা গহনা নগদ টাকা খুঁজতে লাগি, কিন্তু কোথাও খুঁজে পাই না কেউ চুরি করে নিয়ে গেছে। আমার চুরি হওয়া,দুটি সোনার আংটি, গলার চেইন ব্রেসলেট,নগদ (৫০) পঞ্চাশ হাজার টাকা চুরি হয়ে গেছে। প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার সমপরিমাণ ক্ষতি হয়।
একই সাথে চুরি হওয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আওতাধীন মিড ওয়াইফ, লক্ষণপাড়া ইউনিয়ন সাব সেন্টারের কর্মকর্তা মোছাঃ নাজমিন আক্তারের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, প্রতিদিনের মতোই আমি সাব সেন্টারে ডিউটি করতে জন্য যাই, হঠাৎ আমাকে নাছিমা খানম আপা ফোন করে বলে যে তার বাসার সঙ্গে আমার বাসাও চুরি হয়েছে, আমি সেখান থেকে তাৎক্ষণিক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কোয়ার্টারে চলে আসি, এসে দেখি আমার রুমের তালা ভাঙ্গা দরজা খোলা, ভেতরে ঢুকে দেখি আসবাবপত্র এলোমেলো অবস্থা করে আছে, আমার গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র গুলো খুঁজতে থাকি, সেই সাথে আমার নগদ চার হাজার টাকা ছিল তা খুঁজে পাচ্ছি না।
আমার তেমন ক্ষতি হয়নি শুধু নগদ ৪ হাজার টাকা চুরি হয়ে গেছে এ বিষয়ে সন্ধ্যা সাতটায় ধামইরহাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি, এই চুরির বিষয়ে ধামইরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রধান কর্মকর্তা ডাঃ স্বপন কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে বারবার ফোন দেয়ার পর রিসিভ করে না।
এ বিষয়ে ধামইরহাট থানা অফিসার ইনচার্জ মোজাম্মেল হক কাজী মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান চুরি হওয়া ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি সঠিক তদন্তের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
