
নিউজ পোর্টাল খুলে প্রতারণা ও চাঁদাবাজির রমরমা বাণিজ্যে মেতেছে ইমদাদ!



নাম ইমদাদুল হক ওরফে ‘ইমদাদ’, কেউ ডাকে গরু চোর ইমদাদ আবার কেউ ডাকে চাঁদাবাজ ইমদাদ, আবার কখনও ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট সেজে ভ্রাম্যমান আদালতের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে এই কথিত ভুয়া অনলাইন নিউজ পোর্টাল (সংবাদ চলমান)’র সম্পাদক ইমদাদুল হক ইমদাদ চোরার বিরুদ্ধে।
জানা গাছে, ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট সেজে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভিন্ন উপজেলায় ম্যাজিস্ট্রেট পরিচয়ে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, নারী কেলেঙ্কারি, মাদক করবারী, জাল টাকার ব্যবসা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ, প্রধান শিক্ষক ও সুপারদের কাছে গিয়ে নানা রকম ভয়ভীতি প্রদর্শন এবং কম বয়সী ছেলে-মেয়েদের জিম্মি করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারক ইমদাদ চোরা। প্রতারক ইমদাদুল হক প্রশাসনের নাকের ডগায় ভরদিয়ে ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট সেজে অবৈধ অর্থের পাহাড় গড়লেও অনিবার্য কারণে প্রশাসনের ধরা-ছোয়ার বাহিরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
সম্পৃতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসা এবং ভুক্তভগীর নাম না প্রকাশ করার শর্তে ঘটনার বর্ণনায় একজন বলেন, আমার সাথে পূর্ব পরিচিত মেয়ের বাসায় জোড় করে নিয়ে গিয়ে তার সাথে আমার দূর্নাম রটানোর অপকৌশল অবলম্বন করেন ইমদাদুল হক! কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে সেই বাসায় আগে থেকেই আমার মা অবস্থান করায় তাদের ভিত্তিহীন অপকৌশল বিফলে যায়। তারপরও সেই মেয়ের ঘরে জোড় করে প্রবেশ করে মোবাইলে ভিডিও রেকডিং চালু করে মেয়েকে দিয়ে বলাতে চায় আমার সাথে তার অবৈধ সম্পর্ক আছে মেয়েটি এসব বলতে অস্বীকার করলে মেয়েটিকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাতে থাকে এমনকি মেয়েটির ইজ্জতহানীর ও হুমকি দেয়” এই নরপিশাচ ইমদাদ চোরা।
এ বিষয়ে ভুক্তভগীর চেনা বান্ধবী ঐ মেয়েটি সংবাদ মাধ্যমকে জানান ভুক্তভগীর পরিবারের সাথে আমার পরিচয় পূর্ব থেকে। বুধবার হঠাৎ দূর্জয়ের মা আমার বাসায় এসে বলে আমার ছেলে নাকি তোমার বাসায় বিপদে আছে তখন আমি বলি এমনতো কিছু ঘটেনি। ঠিক তার কিছু সময় পরে কিছু লোক আমার বাসায় জোর করে ঢুকে আমার রুমে আমার অনুমতি ছাড়ায় ভিডিও রেকডিং চালু অবস্থায় প্রবেশ করে আমাকে হুমকি দিয়ে বলতে বলে দূর্জয়ের সাথে আমার বিয়ে হয়েছে এবং ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহর করা হয়েছে এটা বলতে বলে, ঘটনাটি এমন আকস্মিক ভাবে ঘটে যা আমি কোন কিছু বুঝে উঠতে পারিনা, তারা আমাকে হুমকি ধামকি দেয়! এমনকি আমাকে লাঞ্ছিত করে ধর্ষন করবে বলেও হুমকি দেয় নরপিশাচ ইমদাদ চোরা । আমি এখন পর্যন্ত বুঝতে পারছি না সংবাদ চলমানের সম্পাদক ইমদাদুল হক কেন আমার সাথে এমন করেছে।’ তারা আমার ভিডিও ডিলিট করেছে কি না বা সেই ভিডিও নিয়ে কি করবে সেটাই আমার বোধগম্য হচ্ছে না” তখন।
বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত সংবাদের বিষয় নিয়ে ভুক্তভগী আরো বলেন, সংবাদ চলমানে কাজ করতে গিয়ে দেখি তারা সাংবাদিকতার নামে চাঁদাবাজি, মাস্তানী, মানুষকে হয়রানি সহ বিভিন্ন অপকর্ম করে থাকেন। সাংবাদিকের সাথে কথা বলতে গিয়ে সংবাদ চলমানের অনেক অপকর্মের দিক তুলে ধরে, তার মধ্যে ইমদাদের বিভিন্ন অপকর্মের কথা বের হয়। সংবাদ চলমানে কাজ করে সকল স্টাফদেরকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভীতি দেখায় এমনকি মহিলা স্টাফ দেরকে ইমদাদুল কু-প্রস্তাব দেয় সে বিষয়েও সে অবগত হয়। ইমদাদের অপকর্ম দেখে আমি স্বেচ্ছায় তার চাকরি ছেড়ে দিলে সে আমাকে দমিয়ে রাখতে এবং আমার ও আমারই বান্ধবী ও সহকর্মী সাংবাদিক জুলেখাকে নিয়ে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে। যার প্রতিবাদ করলে কয়েকঘন্টা পরে পোর্টাল থেকে নিউজ টা ডিলিট করলেও অনেককের কাছে স্কিনশর্ট কপি এমনকি রাফিকুর রহমান লালুর আইডিতে শিরোনাম সহ আমার ছবি থেকে যায় যার জন্য আমি সমাজে হেও প্রতিপন্ন হচ্ছি এবং বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হচ্ছে এতে আমার স্বাভাবিক জীবন যাপন করা কষ্টকর হচ্ছে।
এদিকে ভুক্তভগীর দেয়া তথ্যে জানা যায়, কথিত সাংবাদিক ইমদাদুল হক একজন দূর্ধষ মাস্তান প্রকৃতির তার সংবাদ চলমান অফিসে তার টেবিলের পাশে দেশীয় অস্ত্র সবসময় রাখা থাকে। সংবাদ প্রকাশের নামে ভুক্তভোগীদের কাছে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়া সহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে আবেদন/ সুপারিশ করার কথা বলে প্রতারণা করেন। সে এমন ভাবে কথা বলে তাতে মনে হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে তার যাতায়াত ও সুপারিশ করা তার খই ভাত। প্রশাসনের বড় বড় কর্মকর্তারা তার কথায় উঠে বসে এসব ফাঁপর দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্তি করে টাকা হাতিয়ে নেয়। ভুক্তভগীর দাবি সংবাদ চলমানে সঠিক ভাবে অনুসন্ধান করলে ইমদাদের বহু অপকর্মের ঘটনা বের হবে। ইতিমধ্যে তার অপকর্মের অনেক থলের বিড়াল বের হচ্ছে। যার কারনে শোনা যাচ্ছে এই ইমদাদ চোরা এখন চোখ লক্ষুর আড়ালে সে নাকি তার অফিসে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। তাছাড়া সে একজন আন্ডার মেট্টিক পাস ছেলে হয়ে কিভাবে নাম ঠিকানা বিহীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল চালায়! এদের লাগাম টেনে ধরে আইনের আওতায় আনা একান্ত আবশ্যক। ইদানিং প্রতারণার কৌশল পরিবর্তন করে সংবাদ চলমান একটা অনলাইন নিউজ পোর্টাল এর সাথে ইমদাদ সংবাদ চলমান নামের সাথে টিভি শব্দ লাগিয়ে সংবাদ চলমান টিভি লিখে মানুষকে বিভিন্ন ভাবে প্রতারিত করে লক্ষ লক্ষ টাকা লুফে নিচ্ছে এই ভুয়া-মূর্খ প্রতারক ইমদাদ । ভুক্তভোগীর বলেন, সে যদি ভালো মানুষই হবে তাহলে তার অফিসে কেন কোন স্টাফ বেশিদিন কাজ করতে পারে না।
তবে সংবাদ চলমান ও ভুয়া সাংবাদিক ইমদাদের অপকর্মের ঘটনা নিয়ে সাংবাদিক সহ সুশীল সমাজে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তাকে যদি অতি শিগ্রয় অপসারন না করা হয় তাহলে সাংবাদিক সমাজ কলংকিত হবে, আর জাতির কলঙ্ক এই ইমদাদ চোরার জন্য সকল সাংবাদিক কলংকিত হবে, আর সাংবাদিক কলংকিত হলে জাতির মেরুদণ্ড বেকিয়ে পরবে তখন দেশে সাংবাদিক বলে কিছু থাকবে না, তাই ভুক্তভোগীর চাওয়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে- এই সব প্রতারনা মুলক সাংবাদিকদেরকে আইন এর আওতায় এনে কঠিন থেকে কঠিন তম শাস্তি দেওয়া হোক এবং ভুয়া নিবন্ধনহীন সকল অনলাইন নিউজ পোর্টাল গুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হোক। চলবে–
