
“প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ”



গত ২৪ জানুয়ারী নাটোর বড়াইগ্রাম থেকে প্রকাশিত আজকের পত্রিকা ও গত ২৫ জানুয়ারী নাটোর বড়াইগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক সানশাইন অনলাইন পত্রিকায় “নাটোরে পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধীর জমি দখলের অভিযোগ” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। সংবাদটি মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। সত্য ও প্রকৃত ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ভুল তথ্য দিয়ে এই সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। আমি প্রকাশিত মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
উপরোক্ত মিথ্যা সংবাদে প্রকাশ হয়েছে যে, আমি একজন পুলিশের এসআই এবং আমি জরুরী সেবা ৯৯৯ কল সেন্টারে কর্মরত আছি যাহা চিরন্তন মিথ্যা ও বানোয়াট, আরও প্রকাশ হয়েছে যে, আমি আহম্মেদপুর গ্রামের বাসিন্দা যাহা সঠিক নয়। প্রকাশিত সংবাদে বাংলাদেশ পুলিশ’কে অসম্মান জনক লেখনীর মাধ্যমে মানহানি করা হয়েছে।
উক্ত প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে বাদশা মিয়া একজন প্রতিবন্ধী। মূলত বাদশা মিয়া কোন জন্মগত প্রতিবন্ধী নয়। বাদশা মিয়া সড়ক দুর্ঘটনায় তার পায়ের সমস্যা হয়েছে আর ঐ পায়ের সমস্যা নিয়েই প্রতিবন্ধী কথা কে পুঁজিকরে ফায়দা হাসিল করতে চায় যাহা মোটেও আইন সংগতিপূর্ণ নয়। এমনকি উক্ত মিথ্যা সংবাদে বড়াইগ্রাম থানা পুলিশের অবহেলা তুলে ধরা হয়েছে যাহা পুলিশের দায়িত্ব নিয়ে মিথ্যা কথা বলা হয়েছে। আমি মিজানুর রহমান এই জন্য বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
বিবাদমান জমিটি বাদশা মিয়ার নামে নয়, তবুও বাদশা মিয়া প্রতিবন্ধীর নাটক সাজিয়ে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন কথা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। উক্ত মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য সঠিক অনুসন্ধান না করে কথিত কিছু সাংবাদিক আরও কিছু মিথ্যা তথ্য সংযুক্তি করে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে যাহার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। প্রকাশিত সংবাদ সমূহে উল্লেখ করা হয় যে বাদশা মিয়া আদালতে অভিযোগ করেও রক্ষা পাননি, যাহা আদালতের অবমাননার সামিল। আমি এই প্রতিবাদের মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
প্রকৃত ঘটনাটি হলো আমি মোঃ মিজানুর রহমান, সাং- বালিয়া, থানা- বড়াইগ্রাম, জেলা- নাটোর, আমি একজন পুলিশের সহকারী উপ পুলিশ পরিদর্শক (এএসআই) রাজারবাগ পুলিশ টেলিকম ভবণে কর্মরত আছি। সালেহা বেগমের কাছ থেকে ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে ‘১৮ শতাংশ জমি আমি ক্রয় করি। উক্ত জমিটি এর আগে জাফর আলী ১৯৮৩ সালে আবু বক্কর সিদ্দিকের কাছে ১৮ শতক জমি বিক্রি করে। আবু বক্কর সিদ্দিকের সেই জমির পূর্ব অংশ ভোগদখলে ছিলেন। পরে আবু বক্কর সিদ্দিক আবুল হোসেনের কাছে তা বিক্রি করেন। আবুল হোসেন আবার সালেহা বেগমের কাছে বিক্রি করেন। পরে সালেহা বেগম এর কাছ থেকে সেই জমি ২০২২ সালের নভেম্বরে আমি মোঃ মিজানুর রহমানের ক্রয় করি।
তিন’টি (০৩) হাত বদল হয়ে চতুর্থ বারের বিক্রয় কবলা দলিলের মালিক হয়ে আমি উক্ত জমিটির মালিক হিসেবে সুযোগ সুবিধা ভোগ করে আসিতেছি। বিগত ৪০ বছরেও কোন ক্রেতা সমস্যার সম্মুখীন হয় নাই, আমি ঢাকায় কর্মরত এই সুবাদে বাদশা মিয়া, রাজা, আব্দুল হালিম সহ কিছু দুষ্কৃতকারী সুযোগ নিয়ে আামাকে সামাজিক ভাবে হেও প্রতিপন্ন ও মানহানি করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যাহার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এমনকি বাদশা মিয়া গং আমার বিরুদ্ধে বড়াইগ্রাম থানায় অভিযোগ করলে তাহার সঠিকভাবে তদন্ত পূর্বকে অভিযোগ বাদশা মিয়া গংদের বিরুদ্ধে চলে যাওয়ায় আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। এবং মিথ্যা তথ্য দিয়ে কথিত কিছু সাংবাদিকদের সহযোগিতায় মিথ্যা সংবাদ সম্মেলন করে আমাকে হেও করে মানহানি করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে।
উক্ত প্রতিবাদে আমি আরও বলতে চাই যে প্রকাশিত আজকের পত্রিকা ও প্রকাশিত দৈনিক সানশাইন অনলাইন পত্রিকায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ শিরোনাম সহ, আমার পরিচয়কে ‘হেও প্রতিপন্ন করা হয়েছে, আইন এবং আদালতকেও অবমাননা করা হয়েছে এই বিষয়টি বড়াইগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ মহোদয়, মাননীয় বিজ্ঞ আদালত, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল এর মাননীয় চেয়ারম্যান মহোদয় এবং গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকারের মাননীয় তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। প্রকাশিত মিথ্যা, বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন সংবাদ টি পড়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।
প্রতিবাদকারী
মোঃ মিজানুর রহমান
সাং- বালিয়া
বড়াইগ্রাম, নাটোর।
