
BSMMU তে জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস পালিত



রিপোর্ট:আব্দুল্লাহ আল মামুন
স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদানকারী আড়ালে থাকা সেসব মানুষের উদ্দেশে, এসব অজানা বীরের উদ্দেশে, উৎসর্গীকৃত ১৪ জুনের বিশ্ব রক্তদান দিবস। ১৪ জুন দিবসটি পালনের আরও একটি তাৎপর্য রয়েছে।
এদিন জন্ম হয়েছিল বিজ্ঞানী কার্ল লান্ডষ্টাইনারের। এই নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী আবিষ্কার করেছিলেন রক্তের গ্রুপ । কিন্তু বাংলাদেশে ২ নভেম্বর জাতীয় রক্তদান দিবস পালন করা হয়। ১৯৭৮ সালের ২রা নভেম্বর ডিএমসিএইচ ব্লাড ব্যাংকে সন্ধানী প্রথমবারের মতো স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচীর আয়োজন করে এবং পরবর্তীতে এই দিনটিকেই ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস’ হিসেবে পালন করার ঘোষনা দেয়া হয়।
প্রতিবছরের ন্যায় এই বছরেও নানা কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হচ্ছে।দিবসটি ২০২৩ সালের প্রতিপাদ্য বিষয় “রক্তদানে হয় না ক্ষতি, চোখ ছুঁয়ে যাক চোখের জ্যোতি।”
দিবসটি উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। দুপুর ১.০০ টায় অনুষ্ঠিত উক্ত র্যালিটি শাহবাগ থেকে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
র্যালি পরবর্তী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে উদ্বোধক অতিথি ছিলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি।
ডাঃ দীপু মনি তার বক্তব্যে বলেন, “আর্ত মানবতার সেবায় ব্রত নিয়ে শুরু হয়েছিলো সন্ধানীর পথ চলা। স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে মুমূর্ষু রোগীর প্রাণ স্পন্দন জাগিয়ে তোলা আর মরণোত্তর চক্ষুদানের মাধ্যমে দৃষ্টিহীনকে পৃথিবীর রূপ লাবণ্য দেখার জন্য দৃষ্টি ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করছে সন্ধানী।
জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবসের এই শুভলগ্নে আমি দেশের সকল স্বেচ্ছায় রক্তদাতা ও মরণোত্তর চক্ষুদানে অঙ্গীকারবদ্ধদের জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। ”
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত (এমপি), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃশারফুদ্দিন আহমেদ, সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ডাঃ মনিলাল আইচ লিটু,মহাসচিব অধ্যাপক ডাঃ জয়নুল ইসলাম, তাহসিন আলম সাইম,সৌমিক দাশ সহ সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভা শেষে স্বেচ্ছাসেবীদের কাছে মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার নেয়া হয়।
