
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালনে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কর্মসূচি



গতকাল ৩রা মে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস ২০২৩ সকাল ১০ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের প্রাঙ্গণে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার আয়োজনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন ও সাংবাদিক হয়রানী, নির্যাতন, হত্যা,মিথ্যা মামলা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
সভাপতিত্ব করেন সংস্থার চেয়ারম্যান জনাব লায়ন নূর ইসলাম, বক্তব্য রাখেন সংস্থার কার্যকরী সভাপতি এবং দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মোঃ আবুল বাশার মজুমদার, সহ-সভাপতি মোঃ ফারুক হোসেন, আনারুল হক, মহাসচিব খন্দকার মাসুদুর রহমান দিপু, যুগ্ম মহাসচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন হিলু, এবিএম সোবহান হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রাসেল সরকার, সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল ইসলাম, অর্থ সম্পাদক রুহুল আমিন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা রাজিয়া সুলতানা তূর্ণা, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান সম্রাট, নির্বাহী কমিটির সদস্য হাজী মোঃ আবু তাহের, সিনিয়র সাংবাদিক শাহানুর প্রমুখ।
জনাব লায়ন নুর ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন -রাষ্ট্রের প্রথম স্তম্ভ সংসদ সদস্য, দ্বিতীয় স্তম্ভ প্রশাসন, তৃতীয় স্তম্ভ আইন বিভাগ। প্রত্যেককেই তাদের নিজে নিজে জায়গা থেকে রাষ্ট্রের সকল সুবিধা প্রাপ্ত হচ্ছে। কিন্তু রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে সাংবাদিকেরা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সকল সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। একজন সাংবাদিক তার নিজের অর্থে বাইকের তেল নিয়ে জরুরী সংবাদ সংগ্রহের জন্য ছুটে চলছে। পথে কোন ব্রীজ পার হতে গেলে বাধ্যতামূলক তাকে টোল দিতে হচ্ছে।এতোটুকু সুবিধা ও সাংবাদিকেরা রাষ্ট্র থেকে পাচ্ছেন না।
রাজিয়া সুলতানা তূর্ণা বলেন- -সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন সাংবাদিক ছিলেন।
তিনি সাংবাদিকদের প্রজাতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে গেছেন।কিন্তু সেই সম্মানের জায়গা থেকে সাংবাদিকেরা তাদের কতটুকু প্রাপ্য অধিকার পাচ্ছে? প্রতিনিয়ত নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, হত্যা তাদের নিত্য সাথী।
সাংবাদিকরা জাতীর বিবেক। কলম সৈনিক। সঠিক সংবাদ সংগ্রহ ও প্রকাশের ক্ষেত্রে সমাজের কুচক্রী মহলদের রোশানলে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত।তারা মুক্ত ও স্বাধীনভাবে সংবাদ সংগ্রহ প্রকাশ করতে পারছেন না।
এ সকল প্রতিবন্ধকতা থেকে আজকের এই মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সকল প্রতিবন্ধকতা থেকে মুক্তি দেওয়া হোক।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সাংবাদিকদের জন্য সংশোধন করা হোক। যাতে তারা স্বাধীন মুক্ত ভাবে সংবাদ সংগ্রহ প্রকাশ করতে পারে।আর যেন কোন সাংবাদিককে নির্যাতিত নিপীড়িত হয়ে মানবতার জীবনযাপন করতে না হয়।তিনি এ ব্যাপারে সকল সাংবাদিক জনগোষ্ঠীকে একত্বতা ঘোষণা করার আহবান জানান। ‘স্বাধীন ও মুক্ত হোক বিশ্ব গণমাধ্যম’।এটাই ছিলো তার বক্তব্যর মূল প্রতিপাদ্য।
অন্যান্য অর্গানাইজেশনের পাশাপাশি ফেডারেশন অফ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন(এফবিজেও) একাধিক ব্যানার নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হাজির হয়।সরকার কর্তৃক ৩রা মে বিশ্ব গণমাধ্যম দিবস পালন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কারের দাবিতে অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান জনাব জনাব মোর্শেদ সাহেব বলেন -বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন ২০১৭ সালের ১৪ ই ফেব্রুয়ারি থেকে থেকে সাংবাদিকদের বিভিন্ন অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। সাংবাদিকেরা রাষ্ট্রের প্রথম সারির যোদ্ধা।
তারা প্রতিনিয়ত জীবন বাজি রেখে সকল অপরাধের বিরুদ্ধে তাদের কলম চালিয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষা পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে মুক্ত গণমাধ্যমের বৈশ্বিক দাবি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংস্কার করতে হবে।
এভাবে অনেক সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ নেতৃবৃন্দ গঠন ও বস্তুনিষ্ঠ বক্তব্য পেশ করেন। তারপর জাতীয় প্রেসক্লাব থেকে এক বর্ণাঢ্য এক র্যালি জাতীয় প্রেস কাউন্সিলের বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলে এসে লিখিত আকারে তাদের দাবি পেশ করেন।
তারপর প্রেস কাউন্সিলের সম্মানিত বিচারপতি নিজাম উদ্দিন জনাব নিজাম উদ্দিন নাসিমের সভাপতিত্বে এক মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এভাবেই বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালিত হয়।
