
মহাসচিব এর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও হুমকীর প্রতিবাদে মানববন্ধন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার



আজ ২২ শে মে রোজ সোমবার জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব খন্দকার মাসুদুর রহমান দিপুর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপপ্রচার ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করার হুমকীর প্রতিবাদে এক মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা।
সাংবাদিক দিপুর বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও হুমকি প্রদানকারী নারায়ণগঞ্জের ভেজাইল্যা সুলতান ও প্রতারক কামালকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনায় এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয।
মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে চাঁদাবাজ, মামলাবাজ, ভূমিদস্যু, অপপ্রচারকারী ও সরকার বিরোধী কার্যক্রমে লিপ্ত হেফাজত কান্ডের মামলার আসামী ভেজাইল্যা সুলতান মাহমুদ ও প্রচুর টাকা আত্মসাৎকারী, এলডিপির নেতা পরিচয়দানকারী, একাধিক মামলার আসামীসহ চেক জালিয়াতি মামলার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী প্রতারক কামাল প্রধানকে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে আজ ২২ মে সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণ ঢাকায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা।
প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান উন্নয়নশীল সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও সরকার বিরোধী আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হেফাজত কর্মকান্ডের এজাহারভুক্ত আসামী এবং জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশনের নারায়ণগঞ্জ সভাপতি পরিচয়দানকারী সুলতান মাহমুদ ও এলডিপির নেতা, জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক, হিউম্যান রিসোর্স এন্ড হেলথ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক পরিচয়দানকারী, চেক জালিয়াতি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী সহ একাধিক মামলার পলাতক আসামী প্রতারক কামাল প্রধান বিভিন্ন বিশিষ্ট জনের বিরুদ্ধে নামে বেনামে বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরে ভুয়া চিঠি দিয়ে অহেতুক হয়রানী করছে এবং কিছু হলেই ইন্টারনেট ও ফেসবুকে অপপ্রচার চালিয়ে সম্মানহানী করছে।
যার ফলে অনেক ভুক্তভোগী ও মানবিক মানুষগুলো হয়রানীর শিকার হচ্ছে ওদের দ্বারা।
অপরাধী কামাল প্রধান ও সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন থানায় জিডি, অভিযোগ ও একাধিক মামলা রয়েছে।
বর্তমানে তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং তথ্য সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালাচ্ছে।
তারা বিভিন্ন বেকারী, কলকারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে কখনো সাংবাদিক, কখনো মানবাধিকারকর্মী, কখনো ম্যাজিস্ট্রেট এবং কখনো পুলিশ প্রশাসনের লোক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে মোবাইল কোর্টের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদাবাজি করে আসছে।
সাংবাদিক দিপুসহ বিভিন্ন বিশিষ্ট জনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও হয়রানীর প্রতিবাদে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ভেজইল্যা সুলতান মাহমুদ ও প্রতারক কামাল প্রধানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থাসহ দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসনসহ মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা।
উক্ত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব খন্দকার মাসুদুর রহমান দিপু।
সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল শেখ। মহিলা সম্পাদিকা রাজিয়া সুলতানা তূর্ণা সহ অন্যান্য সকল নেতৃবৃন্দ।
মহিলা সম্পাদিকা তার বক্তব্যে বলেন- সাংবাদিকেরা জাতির বিবেক। সমাজের দর্পণ।
এবং রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সেই স্বীকৃতিটুকু স্বয়ং সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দিয়ে গেছেন।
আমরা সাংবাদিকেরা প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে সরকার স্বীকৃত ও অনুমতি প্রাপ্ত মিডিয়া ভুক্ত পত্রিকায় ও চ্যানেলে কর্মরত।
আমরা কলম যোদ্ধা। রাষ্ট্রের সকল উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড যেমন আমরা আমাদের লেখনীর মাধ্যমে উপস্থাপন করি।
ঠিক তেমনি সমাজের কিছু কুচক্রী মহলের দুর্নীতি ও সরকারের বিরুদ্ধে তাদের ষড়যন্ত্র যথাপযুক্ত তথ্য প্রমান সাপেক্ষে উপস্থাপন করাও আমাদের কাজ এবং নৈতিক দায়িত্ব।
সেই পেশাগত দায়িত্ব পালনে অগ্রণী ভূমিকা পালনের ক্ষেত্রে প্রতি মুহূর্তে আমরা বাধাগ্রস্থ হচ্ছি।
তাই আজকের এই মানববন্ধনের মাধ্যমে আমরা দাবী রাখতে চাই যে,এই কুচক্রি মহলকে চিহ্নিত করে তাদেরকে অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক এবং সমাজ থেকে এদের মূল শিকড় উপড়ে ফেলা হোক।
এ ব্যাপারে মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি।
তিনি আরো বলেছেন -যারা সাংবাদিক দীপু সাহেবের নামে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছেন তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে রাজিয়া সুলতানা তূর্ণা বলেন -আপনারা অনতিবিলম্বে সকল অপপ্রচার বন্ধ করুন।
এবং আপনাদের সোশ্যাল মিডিয়ার সকল আইডি থেকে আপনাদের এই আপনাদের এই ঘৃণিত কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দিন নইলে আমাদের আন্দোলন আরো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে।
এছাড়াও আরো অনেকে এ বিষয়ে গঠনমূলক ও প্রতিবাদী বক্তব্য প্রদান করেন। এভাবে তাদের মানববন্ধনের কর্মসূচি সমাপ্ত হয়।
