
মাদক দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ: মুক্তি চেয়ে গৃহিণীর আহাজারি



নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় রিয়াজ (২৮) নামে এক তরুণ ব্যবসায়ীকে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের পেরাব গ্রামের বদু মেম্বারের অফিসে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন রিয়াজের স্ত্রী মায়া আক্তার। এ সময় তার মুক্তির জন্য আহাজারি ও কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। সঙ্গে ইউপি সদস্য মো. বদু আহমেদ, রিয়াজের বাবা আ. লতিফ, দেড় বছর বয়সী নাতনিও উপস্থিত ছিল।
সংবাদ সম্মেলনে রিয়াজের স্ত্রী মায়া বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার ১৪/০৯/২০২৩ইং রিয়াজ (আমার স্বামী) এক জায়গা থেকে বাসায় এসে দুপুরের খাবার খাইতেছিল। এসময় রুপগঞ্জ থানার কিছু পুলিশ আমাদের বাসায় এসে খাবার খাওয়ার সময় তাকে বলল চল বদু মেম্বারের অফিসে কথা আছে। পরে সে খাবার শেষ না করেই তাদের সাথে যায়। এরপর তারা মেম্বারের অফিসে সামনে এসে জোড়পূর্বক তাকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়’।
তিনি আরও বলেন, ‘এসময় বদু মেম্বার তাদের বসতে বললেও তারা না বসেই রিয়াজকে নিয়ে চলে যান। তাকে নেওয়ার সময় কোনো মাদক ছিল না বলেও তিনি জানান। সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে গৃহিণী আরও বলেন, ‘পরে আমরা জানতে পারি তার কাছ থেকে নাকি তারা হিরোইন পেয়েছে। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।
শুক্রবার সকালে তাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে পেরণ করেন।
আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই। কেন একজন পুলিশ বিনা ওয়ারেন্টে তাকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গেল’।
এসময় ইউপি সদস্য মো. বদু আহমেদ বলেন, ‘আমাদের বাসা সোনারগাঁয়ে। কোনো মামলা বা অভিযোগ যদি থাকে তাহলে তো সোনারগাঁয়ের পুলিশ আসবে। কিন্তু রিয়াজকে রুপগঞ্জের পুলিশ এসে বিনা ওয়ারেন্টে কোনো কারণ ছাড়াই তাকে আটক করল।আমার জানা মতে রিয়াজ একজন ভালো ছেলে সে কোন প্রকার মাদকের সাথে জরিত নয়। রিয়াজের স্বজনদের দাবি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে এই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও হয়রানি থেকে রিয়াজকে মুক্তি দেওয়া হোক।
আওয়ামী লীগ সরকার হলো জনবান্ধব ও উন্নয়নমুখি সরকার। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
