
রাজধানীতে বিভিন্ন এলাকায় সতর্ক অবলম্বনে পুলিশ



রিপোর্ট: মোঃআব্দুল্লাহ আল মোত্তালিব
বিএনপি-জামায়াতের সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘিরে রাজধানীজুড়ে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
রাজধানীতে হরতালের প্রভাব তেমন একটা দেখা যায়নি।সকাল থেকেই রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে।তবে,ব্যক্তিগত গাড়ি ও বাসের সংখ্যা কম ছিল।সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস হওয়ায় কাজে বের হয়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।তবে হরতালে কেউ যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অপ্রীতিকার ঘটনা ঘটাতে না পারে,সেজন্য রাজধানীর মোড়ে মোড়ে অবস্থান নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মন্তব্য,
মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা পুলিশের দায়িত্ব।কেউ যাতে কোনো ধরনের নাশকতা করতে না পারে সেজন্য সব ধরনের প্রস্তুত নেওয়া হয়েছে।আগুন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে চাইলে ছাড় দেওয়া হবে না।
এবং ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেছেন,
হরতালের নামে কেউ যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন ও সাধারণের যানচলাচলে ব্যাহত করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন,
সরকার পতনের এক দফা দাবিতে শনিবার(২৮ অক্টোবর)দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরু করে বিএনপির।তবে তার আগেই রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়।এ সময় আন্দোলনকারীরা বেশ কয়েকটি গাড়ি এবং একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে আগুন দেয়।এবং ভয়াবহ এই সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য ও এক রাজনৈতিক কর্মী নিহত হয়েছেন।এ ছাড়া ৪১ জন পুলিশ সদস্য ও ২৮ জন সাংবাদিকসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন।এরপর রাতেই জনসাধারণের নিরাপত্তায় রাজধানীতে ১১ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
এছাড়া রাজধানীর নয়াপল্টনে ২৮অক্টোবর মহাসমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি।এরপর একই দিন বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগ এবং শাপলা চত্বরে সমাবেশের ডাক দেয় জামায়াতে ইসলামী।
