
রাবিতে ছাত্রদল নেতার উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ!



রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রদলের নেতার উপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ উঠেছে৷ হামলার জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন ছাত্রদল নেতারা। তবে হামলার কথা অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ।
সোমবার (২২ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর একাডেমিক ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ছাত্রদল নেতা শেখ নূর উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
তাকে রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত হামলাকারী ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য সাকিবুল হাসান বাকি। তিনি একই বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী।
ছাত্রদলের নেতাদের অভিযোগ, আহত নূর উদ্দিন তার পরিক্ষার ফরম পূরণ শেষ বিভাগ থেকে বের হবার পর অতর্কিত হামলার শিকার হন।
হামলার নেতৃত্ব দেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য সাকিবুল হাসান বাকি ও তার অনুসারীরা। এসময় হামলাকারীরা বাঁশ দিয়ে বেধরক পেটান ও কিল ঘুষি দেন।
পরে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান রাবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী।
ঘটনাস্থলে ছিলেন ছাত্রদলের রাবি শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক এম এ তাহের। তিনি বলেন, কোনো রাজনৈতিক প্রোগ্রাম নয়, ডিপার্টমেন্টে ক্লাস-পরীক্ষা দিতে গেলেও ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীরা ছাত্রদল নেতাকর্মীদের উপর বর্বর হামলা চালাচ্ছে।
এরা সহাবস্থানের রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়, এরা বাকশালের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। আজকেও বিনা কারনে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে।
একের পর এক ছাত্রদল নেতাকর্মীদের উপর হামলা করায় ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে এর দায় ছাত্রলীগকেই নিতে হবে।
ছাত্রদলের রাবি শাখার আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, আমাদের উপর ছাত্রলীগের কর্মীরা নানাভাবে হামলা করেই যাচ্ছে। ক্যাম্পাসে আমরা নিরাপদ বোধ করছি না।
আজকে হামলার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকে জানালে তিনি ফোন কেটে দেন। পরবর্তী একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি আর ফোন ধরেননি।
অভিযোগের বিষয়ে ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য সাকিবুল হাসান বাকি বলেন, আমাদের নেত্রীকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে আমরা আজকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছি।
এ সময় আমরা ছাত্রদলকে প্রতিহত করার জন্য ঘোষণা দিয়েছি। আমরা তাকে কোন মারধর করিনি। তাদের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আমি শুনেছি। এখানে তাদের উপর কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি। তাদেরকে প্রতিহত করা হয়েছে।
এ বিষয়ের জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, আমার কাছে ফোন এসেছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে আমি এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেই।
খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি দুজন শিক্ষার্থী একই বিভাগের। পরে ওই বিভাগে যোগাযোগ করি। তারা বিভাগীয়ভাবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।
