
রাবিতে শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত!



রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বুধবার (১৭ মে) সকাল সাড়ে ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামানিক, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম, প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, অনুষদ অধিকর্তা, হল প্রাধ্যক্ষ, বিভাগীয় সভাপতি, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে এক শোভাযাত্রা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে যায়।
এদিন বেলা ১১টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত হয় বিশেষ আলোচনা সভা।
এই আয়োজনে মুখ্য আলোচক ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ড. শহীদ হোসাইন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় আলোচক ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর।
সভায় মুখ্য আলোচক ড. শহীদ হোসাইন বলেন, হাসিনা আপাকে দেখতাম তিনি সবসময় সবকিছু নিজের হাতে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করতেন।
সবার অভিভাবক হিসেবে তিনি হয়তো স্বাভাবিক থাকতেন।
অভ্যুত্থানের খবর জানার জন্য হাসিনা আপা এবং ওয়াজেদ ভাই ব্যাকুল থাকতেন।
কিন্তু সেখানকার টেলিভিশন তো ছবি দেখায় কিন্তু তা বুঝতে পারতাম না।
তাছাড়াও টেলিভিশনটাও ছিলো পুরাতন। আমি আমার ঘরের টেলিভিশনটা নিয়ে গেলাম, ঐটাও একই।
২৫ আগস্ট তারা দিল্লীতে পৌঁছায়। এরপর হাসিনা আপা, পুতুল কলকাতায় পৌঁছায়। ১৯৮১ সালের ১৭ মে হাসিনা আপা ঢাকায় আসেন।
সেখানে তাকে রিসিভ করার জন্য ১২ লাখ মানুষের মতো জড়ো হয়ে স্বাগতম ও শুভেচ্ছা জানান।
সেদিনই শেখ হাসিনা আত্মনিয়োগ করেন মানবতার সেবায়।
সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ দুটি জমজ শব্দ।
কেননা এদেশের মানুষের কল্যাণে বঙ্গবন্ধুর যে অবদান, সেটা জাতি জানে।
তাঁরই রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বঙ্গবন্ধুর সেই সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে নির্ভীক চিত্তে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তিনি।
আজ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার রূপকার এই বঙ্গবন্ধু কন্যা। কিন্তু এই পথ এতো সহজ ছিল না।
ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাকে দেশ থেকে নির্বাসিত করেছিল।
দেশে ফেরার পরেও বহুবার তাঁকে হত্যা চেষ্টা করেছে ষড়যন্ত্রকারীরা। কিন্তু তারা সফল হয় নি।
বরং দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে একাই লড়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তাঁর হাত ধরেই উন্নয়ন আজ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। বাঙালি পরিচিত হয়েছে স্মার্ট জাতি হিসেবে।
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, এদেশের মানুষ যখন স্বৈরশাসনে অতিষ্ঠ, তখন এদেশের মাটি ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন।
সেই থেকে শুরু করে বহু ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করে এই দেশকে উন্নত রাষ্ট্রের পথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, সংগ্রামী চেতনা ও জাতির কল্যাণে দূরদর্শিতায় বাঙালি মুক্তির পথ খুঁজে পেয়েছে।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালাম।
এ সময় অন্যদের উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদ এবং জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে প্রমূখ।
