
রাবির দুই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ!



রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংস্কৃত বিভাগের রফিকুল ইসলাম নামের এক কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে৷
মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের ৩৬৪ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় তিনি হলের প্রাধ্যক্ষ বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন৷
অন্যদিকে অভিযুক্ত দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন- শহীদ শামসুজ্জোহা হলের সাধারণ সম্পাদক ও সংস্কৃত বিভাগের ছাত্র মোমিন ইসলাম এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সহ-সভাপতি ও একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম।
মারধরের পর ভুক্তভোগীর সঙ্গে থাকা তার ব্যবসায়িক কাজের প্রায় ৩০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় বলেও অভিযোগ আছে৷
লিখিত অভিযোগে ভুক্তভোগী বলেন, আজ দুপুরে অসুস্থতার কথা বলে সোহরাওয়ার্দী হলের ৩৬৪ নম্বর কক্ষে ডাকেন মোমিন।
তারপর সেখানে উপস্থিত হলে তারা দুজন কক্ষের জানালা-দরজা বন্ধ করে মারধর করেন। এক পর্যায়ে সঙ্গে থাকা ৩০ হাজার টাকাও নিয়ে নেয় তারা।
তিনি আরো বলেন, অচেতন হওয়ার পর আমার মাথায় পানি ঢেকে অর্ধচেতন অর্বস্থায় হলের সামনে রেখে যায়। পরবর্তীতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাকে উদ্ধার করে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলামকে একাধিক বার ফোন করা হলে নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ শামসুজ্জোহা হল শাখার সাধারণ সম্পাদক মোমিন ইসলাম বলেন, সংস্কৃত বিভাগের কর্মচারী রফিকুল আমার থেকে ৫ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলো।
সেটা চাওয়ার জন্য ডেকে ছিলাম। টাকা না দিয়েও তিনি দিয়েছেন বলে দাবি করেন। এরপর তাকে হল থেকে ছেড়ে দেই। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
তিনি আরো বলেন, তার কাছ থেকে আমি টাকা পাই। সেটির দিতে পারছে না। তার কাছ থেকে কেনো টাকা নিবো আমি।
অন্যদিকে বিভাগের ছাত্রের কাছ থেকেও টাকা নেওয়ার অভিযোগ সত্য নয় বলে জানান ওই কর্মচারী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু বলেন, বিষয়টি একটু আগে জেনেছি।
খোঁজ-খবর নিয়ে ছাত্রলীগের যে কেউ জড়িত থাকলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ ঘটনায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আজকে দুপুরে হলে নিয়ে এসে সংস্কৃতি বিভাগের এক কর্মচারীকে মারধর করা হয়েছে বলে তা শুনেই হলে আসি৷ আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছি।
এ ঘটনায় আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ এসেছে৷ আজ সন্ধ্যায় প্রাধ্যক্ষ পরিষদের সভা ডাকা হয়েছে৷ এতে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে৷
