সবাই অকৃতকার্য! এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখার মাহাত্ম্য কী?


করোনা মহামারির কারণে এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে ভিন্ন পরিস্থিতিতে, ভিন্ন নিয়মে। অন্যান্য বারের মতো এবার সব বিষয়ের ওপর পরীক্ষা হয়নি। শুধু গ্রুপভিত্তিক (বিজ্ঞান, মানবিক, ব্যবসায় শিক্ষা ইত্যাদি) তিনটি বিষয়ে সময় ও নম্বর কমিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
এবার অন্য আবশ্যিক বিষয় ও চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষাও হয়নি। তা সত্ত্বেও দেখা গেল, ১৮ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেউই পাশ করতে পারেনি। সামগ্রিকভাবে দেখা যায়, এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাশের হার ও জিপিএ-৫ দুটোই বেড়েছে। এমন ফলাফলের মাঝেও ১৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউই পাশ করতে পারল না-এটা বিস্ময়কর বটে।
কেন এই হতাশাজনক চিত্র? শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এই ১৮ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে হবে। তিনি বলেন, অনেক জায়গায় অর্থনৈতিকসহ নানা ধরনের সমস্যা থাকে। হয়তো সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর অবস্থা একেবারে ভালো নয়। তিনি যোগ করেন-কারণ যা-ই থাকুক, সেগুলো খুঁজে বের করে তা দূর করার চেষ্টা করা হবে।
অবশ্য কেউ পাশ না করা প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাপারে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা, সে ব্যাপারে শিক্ষামন্ত্রী বা মন্ত্রণালয়ের কেউ কিছু বলেননি। শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য বলেছেন, এটা স্বস্তিকর যে, কেউ পাশ না করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা আগে ছিল ১০৪, এখন সেটা নেমে এসেছে ১৮-তে।
আমাদের কথা হলো, সংখ্যাটি ১৮ই বা হবে কেন? একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের একজন পরীক্ষার্থীও পাশ করতে পারবে না, এটা কোনো কথা হতে পারে না। প্রশ্ন উঠতেই পারে, সেক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানগুলোয় কী পড়ানো হয়? এসব প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখারই বা কী মাহাত্ম্য!
প্রথম কথা হলো, দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানই সমমানের হওয়া উচিত। তা যদি না-ও হয়, মানের এতটা ফারাক কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা আলোচ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক অবস্থা জেনে সেগুলোর ব্যাপারে যথোপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানাব। একই সঙ্গে দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে মানসম্মত করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতেও বলব শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে।
