
সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে র্যাব ৬ এর অভিযানে ৭০০ কেজি বাগদা চিংড়ি বিনষ্ট



সাতক্ষীরা কালিগঞ্জে বাঁশতলা মৎস্য সেটে র্যাব৬অভিযান চালিয়ে বাগদা চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ করার অভিযোগে চার ব্যবসায়ি ও আটজন নারী শ্রমিককে আটক করেছে।
এ সময় জব্দ করা হয়েছে ৭০০ কেজি অপদ্রব্য পুশকৃত বাগদা চিংড়ি। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বাঁশতলা বাজারের নিকটবর্তী গোয়ালঘেষিয়া নদীর ব্রীজের পাশে মাছের সেটে এ অভিযান চালানো হয়।
বিকেলে ভ্রাম্যমান আদালতে চার ব্যবসায়ির প্রত্যেককে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও আট নারী শ্রমিককে মুচলেকার মাধ্যমে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
পেট্রল দিয়ে আগুনে পুড়িয়ে গাড়ির চাকার তলায় পিষ্ট করার পর ওই বাগদা চিংড়ি মাটির তলায় পুঁতে ফেলা হয়েছে।
সাজাপ্রাপ্ত চার ব্যবসায়িরা হলেন, আশাশুনি উপজেলার মুহষকুড় গ্রামের ইসলাম বিশ্বাসের ছেলে সাইফুল ইসলাম, কালিগঞ্জ উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আবুল কালাম ঢালীর ছেলে আলমগীর ঢালী,একই উপজেলার নীলকণ্ঠপুর গ্রামের হামিদ গাজীর ছেলে সাকিল হোসেন ও একই গ্রামের আসাদুল গাজীর ছেলে ফরিদ হোসেন।
কালিগঞ্জ উপজেলার জ্যেষ্ট মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ নাজমুল হুদা জানান, গোপন খবরের ভিত্তিতে শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে খুলনা র্যাব-৬ এর সাতক্ষীরা অফিসের সহকারি পুলিশ সুপার নাজমুল হোসেনের নেতৃত্বে র্যাব সদস্যরা উপজেলার বাঁশতলা বাজারের নিকটবর্তী গোয়ালঘেসিয়া নদীর ব্রীজের পাশে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় বেড়িবাঁধের পাশে রবিউল ইসলামের বাৎসরিক ১০ হাজার টাকায় ফরিদ হোসেন ও রেজায়ানের একটি
ভাড়া নেওয়া ঘর, তার পার্শ্ববর্তী একটি ও মাছের সেটের মধ্যে আরো একটি ঘরে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় চার ব্যবসায়ি ও আটজন নারী শ্রমিককে আটক করা হয়। র্যাব এর উপস্থিতি টের পেয়ে মাছ ব্যবসায়ি বন্দকাটি গ্রামের রেজায়ানসহ দুইজন পালিয়ে যায়। তিনটি ঘর থেকে জব্দ করা হয় ৭০০ কেজি পুশকৃত বাগদা চিংড়ি, পুশ করার কাজে ব্যবহৃত কয়েকটি সিরিঞ্জ,পানি
মিশ্রিত ময়দা।
বিকেল তিনটার দিকে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রহিমা সুলতানা বুশরা ঘটনাস্থলে আসেন। বিকেল চারটার দিকে আটককৃত চার ব্যবসায়ির প্রত্যেককে ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ডও মুচলেকা দিয়ে আট নারী শ্রমিককে মুক্তি দেন।
এসময় ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ছিলেন উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা। সাজাপ্রাপ্ত চার ব্যবসায়িকে শুক্রবার বিকেলে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
