
১ ঘন্টার মধ্যে ফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করলেন মানবিক ট্রাফিক সার্জেন্ট রাশিদুল ইসলাম (অপূর্ব)



অদ্য ১৫ই মে ২০২৩ ইং তারিখে রাজশাহী আরএমপির মানবিক এবং চৌখস অফিসার সার্জেন্ট রাশিদুল ইসলাম (অপূর্ব) গোদাগাড়ীর কাউসারের হারানো ১টি ব্যাগ, ১ টি মোবাইল ও নগদ ৯০০০.০০ টাকা উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করেন।
মূলত কাউসার রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী থানার চরআশড়াদহ গ্রামের বাসিন্দা।
তিনি আজ আনুমানিক সকাল ৯.০০ ঘটিকার সময়ে গোদাগাড়ী হতে অটোরিকশায় করে তার মা-বোন সহ রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে যাচ্ছিলেন।
এদিকে সার্জেন্ট রাশিদুল আরএমপির কাশিয়াডাঙ্গা মোড়ে ট্রাফিক ডিউটি করাকালীন সকাল আনুমানিক ১০.০০ ঘটিকার সময়ে বিভিন্ন অটোরিকশার লাইসেন্স চেক করেন।
ঘটনাক্রমে তিনি কাউসার যে অটোরিকশা করে মেডিকেলে যাচ্ছিলেন ঐ গাড়ীটি কে তার লাইসেন্স প্রদর্শন করতে ব্যার্থ হওয়ায় একটি ট্রাফিক মামলা দেন।
মামলা দেওয়ায় রাস্তায় কিছু বিলম্ব হলে কাউসার ভুলক্রমে উক্ত অটোরিকশায় একটি ব্যাগ রেখে অন্য বাহনে তার মা বোনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজে চলে গেলে মেডিক্যাল কলেজের ডিউটিরত পুলিশ সদস্য ট্রাফিক সার্জেন্ট রাশিদুলকে হারানো, ব্যাগ মোবাইল এবং টাকার বিষয়টি অবগত করিলে তাৎক্ষণিকভাবে মানবিক ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট রাশিদুল ইসলাম মামলার রিপোর্ট চেক করে উক্ত অটোরিকশা চালকে শনাক্ত করে টুলটুলি পাড়া অটোরিকশা চালকের বাসায় যান। অটোরিকশা চালকের নাম ফারুক।
পরে অটোরিকশা চালককে হারানো ব্যাগটির বিষয়ে জিঙ্গাসা করিলে তিনি বলেন যে ব্যাগটির খবর তিনি জানেন না। মূলত অটোরিকশা চালক নিজেও জানেন না যে ব্যাগটির তার রিক্সায় ই পড়ে আছে।
ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট রাশিদুল ইসলাম ব্যাগটির কথা জিঙ্গাসা করার পর ই রিক্সা চালক খুঁজতে গিয়ে ব্যাগটি তার রিক্সায় পান।
পরবর্তীতে ব্যাগটির উদ্ধার করে রাজশাহী কাশিয়াডাঙ্গা মোড়ে ডিউটিরত অবস্থানে নিয়ে গিয়ে কাউসার কে মুঠোফোনে অবগত করিলে তাৎক্ষণিক তিনি তার মা-বোন সহ এসে ব্যাগটি খুলে তার মোবাইল ফোন এবং নগদ ৯০০০.০০ টাকা যে ভাবে রেখেছিলেন ঐ ভাবেই ফিরে পান।
পরবর্তীতে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট রাশিদুল ইসলাম ব্যাগ, টাকা এবং মোবাইল ফোন প্রকৃত মালিক কাউসারের নিকট সকাল আনুমানিক ১১.০০ ঘটিকার সময়ে হস্তান্তর করেন এবং ঘটনাস্থলে কাউসার মানবিক সার্জেন্ট রাশিদুলের মানবিকতা, সততা দেখে কান্নায় আবেগপ্রবণ হয়ে উঠে বলে বাংলাদেশের প্রতিটি পুলিশ সদস্যদের এই রকম কাজ থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিৎ।
ঘটনার বিষয়টি ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট রাশিদুল ইসলামকে দৈনিক বাংলাখবর প্রতিদিন থেকে ফোন করিলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।
তিনি এক প্রশ্ন উত্তরে বলেন যে তিনি তার দায়িত্ববোধ থেকেই ব্যাগ, ৯০০০.০০ টাকা এবং মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছেন এবং তার এই রকম কাজ চলমান থাকবে।
মূলত মানবিক ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট রাশিদুল ইসলামের বাড়ি নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম থানায়। বাংলাদেশ পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে সার্জেন্ট হিসেবে চাকুরীরত অবস্থায় করোনা দূর্যোগ মোকাবেলায় তিনি তার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখে গরীব এবং অসহায় মানুষের পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছিলেন এবং সততা বজায় রেখেই বাংলাদেশ পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে সার্জেন্ট হিসেবে দায়িত্ত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তার সৎ কর্মের জন্য সুশিল সমাজ তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
