
৩ আইটেমেই ৫০০ টাকা শেষ



সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেড়েছে আটার দাম। তবে ব্রয়লার মুরগি, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
সরকারের বেধে দেওয়া দাম অনুসারে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১০২ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১০৮ টাকায় বিক্রি করার কথা। তবে বাজারে সব ধরনের চিনিই ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর মালিবাগ কাঁচাবাজারে দেখা গেছে সব দোকানেই সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে।
মুদি দোকানি আশরাফুল ইসলাম বলেন, কোম্পানি আমাদের বেশি দামেই চিনি দিচ্ছে। কিনতে হচ্ছে ১১০ টাকার বেশি দিয়ে। আমরা সরকারের নির্ধারিত দামে বিক্রি করব কীভাবে? মিরপুরের কয়েকটি বাজারেও দেখা গেছে একই চিত্র।বাজারে প্যাকেট আটার দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বেড়ে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা আটা ৬৫ টাকায়।
আমদানি করা রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায়। যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ থেকে ১১০ টাকা। পেঁয়াজ প্রতি কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমেছে। আমদানি করা পেঁয়াজ পাঁচ টাকা কমে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
ঢাকার বাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৭০০ টাকা এবং খাশির মাংস পাওয়া যাচ্ছে ৯০০ টাকায়। তবে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। সোনালি মুরগি পাওয়া যাচ্ছে ২৫০ টাকায়। আর দেশি মুরগি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন মুরগির ডিম ১২০ টাকায় আর হাঁসের ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকায়।
মিরপুর ১২ নম্বর সেকশনে বাজার করতে আসা এক ব্যক্তি বলেন, সরকারের বাজার নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ দেখছি না। একবার যে পণ্যগুলোর দাম বাড়ছে সেটা আর কমছে না। মানুষ প্রয়োজনের চেয়ে কম বাজার করছেন। যেখানে ১০ টাকার জিনিস কেনা দরকার, সেখানে পাঁচ টাকার কিনেই বাড়ি ফিরছেন।
সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেড়েছে আটার দাম। তবে ব্রয়লার মুরগি, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম কিছুটা কমেছে। কারওয়ানবাজারে আসা একজন বলেন, ৫০০ টাকা নিয়ে বাজারে এসেছি। তাতে তেল, চিনি ও আটা কিনেই শেষ ৪০০ টাকা। মাছ-তরকারি কিনব কীভাবে সে চিন্তাই আছি।
