
কাছিমারচর কান্দাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পেরিয়ে গেছে প্রায় অর্ধশত বছর
৪৭ বছরেও সৃষ্টি হয়নি প্রধান শিক্ষকের পদ



জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গোয়ালেরচর ইউনিয়নের ৭৮ নং কাছিমারচর কান্দাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ২৩০ জন ছাত্রছাত্রী ও ৪ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৪৭ বছরেও সৃষ্টি হয়নি প্রধান শিক্ষকের পদ। ভারপ্রাপ্তেই চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বছরের পর বছর।
কেন সৃষ্টি করা হয়নি প্রধান শিক্ষকের পদ, কোন বিধিমালায় এমন হচ্ছে জানা নেই কারোরই। নিয়মিত প্রধান শিক্ষক না থাকায় অনেক দাফতরিক কাজে জটিলতা তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন শিক্ষা ও পাঠদানে সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
প্রাথমিক শিক্ষা হলো সকল শিক্ষার মূলভিত্তি ও স্তম্ভ। দেশের সংবিধানে প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বজনীন ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য মাত্রা (এমডিজি) ও সবার জন্য শিক্ষা (ইএফএ) কার্যক্রম গতিশীল করতে প্রাথমিক শিক্ষার বিকল্প নেই।
এবিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শামসুন্নাহার বলেন, কেন প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হয়নি জানা নেই?
সহকারী শিক্ষক ইসকেন্দার আলী বলেন,আমি এখানে আসার পর শুনছি বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে। পূর্বের শিক্ষকেরা চাহিদা দিয়েছেন কিন্তু কোন কাজে আসেনি।
সহকারী শিক্ষিকা কামরুন্নাহার বলেন,৭বছর ধরে পাঠদান করে আসতেছি, বারবার চাহিদা দেওয়া হয়েছে কিন্তু অজ্ঞাত কারণে পদ সৃষ্টি হয়নি।
সহকারী শিক্ষিকা (এই প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী) ফাতেমা জান্নাত বলেন, আমি যখন এখানে লেখাপড়া করেছি তখনও ভারপ্রাপ্তেই চলছে এবং এখানে আমি গত ৬ বছর ধরে পাঠদান করে আসতেছি কিন্তু এখনো পদ সৃষ্টি হয়নি।আমি আসার পর উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে কিন্তু ওখানে তারা কি করছে জানা নেই?
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ আতাউর রহমান বলেন, আমি এই প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী। পরিবার প্রধান ছাড়া যেমন একটা পরিবার অকুল পাথারে নিমজ্জিত হয় ঠিক তেমনি প্রধান শিক্ষক ছাড়াও শিক্ষার মান,কৌশল ও কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়ে।তাই অনতিবিলম্বে এই প্রতিষ্ঠানে যেনো প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টি করা হয়।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ ফেরদৌস জানান,বিদ্যালয়টিতে এখনো প্রধান শিক্ষকের পদ তৈরী হয়নি, বিষয়টি গোড়া থেকে এই অবস্থায় ছিলো। পরবর্তীতে আমরা ৫/৬ মাস আগে পদ সৃষ্টির জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে তথ্য পাঠিয়েছি।
সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ হারন-অর-রশিদ বলেন,বিভিন্ন জটিলতায় জেলার প্রধান শিক্ষক পদ সৃষ্টি না হওয়া ২ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তালিকা ও তথ্য ইতোমধ্যে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ করেছি। আশাকরি অতিসত্বরই প্রধান শিক্ষকের পদ সৃষ্টি হবে।
