রাবিতে রোকেয়া দিবস উপলক্ষে স্মরণসভা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ‘জাগো, জাগো গো ভগিনী’ প্রতিপাদ্য নিয়ে রোকেয়া দিবস-২০২২ উপলক্ষে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম রোকেয়া হলে এই স্মরণসভার আয়োজন করে হল প্রশাসন।
এদিন বিকেল ৫টায় হল প্রাঙ্গণে বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হেসেনের ম্যুরাল বেদিতে মোববাতি প্রজ্জ্বলন করা হয়। পরে হলের মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা করে হল প্রশাসন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, বেগম রোকেয়া দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম নারী জাগরণের অগ্রদূত। এখনকার সময়ে মেয়েরা যে স্বাধীনতা ভোগ করছে তা বয়ে নিয়ে এসেছিলো বেগম রোকেয়া।তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন মাতৃভাষায় পড়ালেখার জন্য। পরবর্তীতে বেগম রোকেয়ার জাগরণ বঙ্গবন্ধুর মধ্যে প্রস্ফুটিত হয়েছিল।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির বলেন, ইতিহাস পর্যালোচনা করলে আমরা বেগম রোকেয়া সম্পর্কে জানতে পারি। তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শিক্ষা ও সংস্কৃতি নিয়ে কাজ করে গেছেন। তৎকালীন সময়ে মুসলিম নারীরা বেশ পিছিয়ে ছিলেন। রোকেয়া জেনেছিলেন, শিক্ষা ছাড়া নারীদের এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। নারীদের অধিকারের জন্য তিনি সংগ্রাম করে গেছেন। বেগম রোকেয়া আমাদের উদ্দ্যেশ্যে যে কথা, আদর্শ রেখে গেছেন সেগুলো মেনে শিক্ষার্থীরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে তিনি প্রত্যাশা করেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম বলেন, রোকেয়া বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছেন এজন্য আমরা গর্বিত। তিনি সমাজকে জাগরণের জন্য, নারী জাতিকে জাগরণের জন্য যে কাজ করেছেন তার জন্য আমরা গর্বিত। এই মহীয়সী নারীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি কারণ তিনি আমাদের পথ দেখিয়েছে। আমরা যদি রোকেয়ার জ্ঞানের আলো নিজেদের মধ্যে লালন এবং অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দেই তবেই তার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন হবে।
মূখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ইউনিভার্সাল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহানী হোসেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন রোকেয়া হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক জয়ন্তী রানী বসাক। এছাড়াও অতিথি হিসেবে জনসংযোগ কর্মকর্তা অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে, হল প্রাধ্যক্ষগণ ও হলের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।