দোষ না করেও আমাদেরকে সাজা দেওয়া হয়েছে
আজ আনন্দের দিনে আঘাতটা পেলাম: ড.ইউনূস
গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ও শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড.মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, যে দোষ আমি করিনি সে দোষে আমাদেরকে সাজা দেওয়া হয়েছে। এই সাজা আমাদের কপালে ছিল। আজ আনন্দের দিনে আঘাতটা পেলাম।
২০২৪ সাল- নতুন বছরের প্রথম দিন সোমবার (১লা জানুয়ারি) ঢাকার শ্রম আদালতে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
ড. ইউনূস বলেন, আজ রায় ঘোষণা শুনতে আমার অনেক বিদেশি বন্ধু-বান্ধব এসেছে। যাদের সঙ্গে বহুদিন দেখা হয়নি। আজ তাদেরকে দেখে খুব আনন্দ লাগছিল। সবাই রায়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। যে দোষ আমরা করিনি, সে দোষে সাজা দেওয়া হলো। আনন্দের দিনে আঘাতটা পেলাম।
এ সময় তার আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন শ্রম আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার ঘোষণা দেন।
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে আপিল করার শর্তে ড. ইউনূসসহ আসামিদের ১ মাসের জামিন দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। তাদেরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
রায়ের পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা এক নম্বর আসামির বিষয়ে প্রশংসাসূচক বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন। তাকে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াই করা নোবেলজয়ী আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব বলা হয়েছে।
কিন্তু এ আদালতে নোবেলজয়ী ইউনূসের বিচার হচ্ছে না, গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান হিসেবে বিচার হচ্ছে। এসময় আদালত বলেন, ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, শান্তিতে নোবেলজয়ী ড.মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানও এই মামলার আসামি। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এই মামলাটি করেছিলেন।